Man's dearest possession is life. It is given to him but once, and he must live it so as to feel no torturing regrets for wasted years, never know the burning shame of a mean and petty past; so live that, dying he might say: all my life, all my strength were given to the finest cause in all the world- the fight for the Liberation of Mankind. - Nikolai Ostrovsky

Friday, November 30, 2012

এঙ্গেলস, ১৯৩-তে... (এই তো সময়, দ্বিতীয় বর্ষ, ষষ্ঠদশ সংখ্যা, ১৫ই ডিসেম্বর, ২০১২)




কমরেড লেনিন একবার বলেছিলেন, বিপ্লবীদের জীবৎকালে প্রতিবিপ্লবীরা তাঁদের অনবরত গালাগাল করে; কিন্তু যেই না তাঁদের মৃত্যু হয় অমনি এই একদা খিস্তিবাজের দল তাঁদের কুলুঙ্গিতে তুলে শাঁখঘণ্টা বাজিয়ে পুজো করতে শুরু করে। এই কাজ তারা করে মহান বিপ্লবীদের নির্জীব বিগ্রহে পরিণত করে তাঁদের বৈপ্লবিক শিক্ষা ও আদর্শ থেকে তাঁদের বিযুক্ত করতে। কমরেড লেনিনের এই কথা যে শুধু তাঁর নিজের আমলে বা তার পরবর্তীতেই সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তা নয়, অতীতেও এর অভিপ্রকাশ আমরা বার বার দেখেছি। দুর্গের ভেতর থেকে দুর্গ দখল করতে পারলে আর বাইরে থেকে হানা দেওয়ার দরকার কি?
১৯ শতকের শেষ। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের যুগ চলছে। মার্কস মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তাঁর পরম সুহৃদ কমরেড এঙ্গেলস বৃদ্ধ হয়েছেন। তা সত্ত্বেও, নিজের যুগান্তকারী সমস্ত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধাবলী রচনা করে, সাংগঠনিক ও মতাদর্শগত কাজ চালিয়ে, তিনি একে একে সম্পাদনা করে চলেছেন মার্কসের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নোট এবং লেখা। তাঁর জন্যেই দিনের আলো দেখেছে পুঁজি’-র দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড, সংকলিত হয়েছে (কাউটস্কির সাহায্যে) উদ্বৃত্ত মূল্যের তত্ত্বযা পুঁজি’-র চতুর্থ খণ্ড হিসাবে পরিচিত। কিন্তু প্রথম আন্তর্জাতিকের নৈরাজ্যবাদীদের মতো দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকেও তখন ঘাপটি মেরে আছে কিছু লোক, যাদের আপাতভাবে বিপ্লবী মনে হলেও আদতে তারা বিপ্লব-ভীরু। এঙ্গেলস একবার লিখেছিলেন, বিপ্লব জিনিসটাই একটা কর্তৃত্বমূলক ব্যাপার; এখানে এক শ্রেণী আর এক শ্রেণীর উপর তাঁর কর্তৃত্ব কায়েম করে, রীতিমতো সশস্ত্র উপায়ে। বলা বাহুল্য, এমন ভয়ানক কথা বিপ্লব-ভীরুদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এরা অনেকটা রবি ঠাকুরের বাল্মিকি প্রতিভার প্রথম দস্যুর মতন—‘লাঠালাঠি কাটাকাটি, ভাবতে লাগে দাঁত-কপাটিধরনের। ফলে মুখে বিপ্লব, ইত্যাদি বললেও কাজে শুধুই লেখালিখি, মিটিং, মিছিল, সেমিনার...।
এই সময়, ১৮৯৫ সালে, মার্কসের লেখা ফ্রান্সে শ্রেণী সংগ্রাম’ (১৮৪৮ থেকে ৫০-র মধ্যে লেখা একগুচ্ছ প্রবন্ধের সংকলন) শীর্ষক বইয়ের একটা যুগোপযোগী ভূমিকা লেখেন এঙ্গেলস। তাতে তিনি দেখান কীভাবে পারি কম্যুনের রক্তাক্ত পরিসমাপ্তিতে শ্রমিক আন্দোলনের ভরকেন্দ্র জার্মানিতে সরে আসে, এবং জার্মান শ্রমিকরা নির্বাচনী সংগ্রামকে কেমন বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যাবহার করেন। তৎকালীন জার্মানিতে বেআইনি আন্দোলনের থেকে আইনি আন্দোলনের সুযোগ এবং প্রভাব যে আগের চেয়ে অনেক বেশী, --এঙ্গেলস এই কথাও বলেন। বৃদ্ধ দার্শনিক বোঝেন নি, বিপ্লব ভীরুদের কাছে তাঁর এই রচনাই হয়ে উঠবে নিজেদের নিষ্ক্রিয়তা ও ভীতিকে বিপ্লবী মোড়কে ঢেকে রাখার আলখাল্লা। এই লেখার থেকে খাবলা খাবলা অংশ তুলে নিয়ে য়্যুলিয়াম লিবনেখট ও তার চ্যালা-চামুণ্ডারা জর্মন সমাজ গণতন্ত্রী দলের মুখপত্র আগে বাড়ো’-র পাতায় ছেপে দেয়। এঙ্গেলস কিছুই জানতে পারেন না। হঠাৎই কাগজ খুলে এহেন কাণ্ড দেখে তিনি রাগে, বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান; কাউটস্কিকে সেদিনই, অর্থাৎ ১লা এপ্রিল, এক চিঠিতে লেখেন—‘প্রচণ্ড বিস্ময়ের সাথে আজকের আগে বাড়ো”-র পাতায় দেখলাম আমার লেখা ভূমিকার কিছু অংশ, যা আমার অনুমতি না নিয়েই ছাপা হয়েছে এবং এমনভাবে কাটছাঁট করা হয়েছে যাতে মনে হয় আমি যে কোনও মূল্যেই আইনসরবস্যতার ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পূজারী।এর পর তিনি জানান যে তাঁর বক্তব্য বিকৃতকরার জন্য লিখনেখট ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদের তিনি এক হাত নেবেন। এই ঘটনার দু দিন পর, মানে ৩রা এপ্রিল, পল লাফার্গকে এঙ্গেলস এই একই বিষয়ে আর একটা চিঠি লেখেন। তাতে তিনি বলেন, ‘লিবনেখট আমার বিরুদ্ধে বেশ সুন্দর একটা চাল চেলেছে। ১৮৪৮ ও ১৮৫০-র মধ্যবর্তী ফ্রান্স সম্পর্কে মার্কসের প্রবন্ধগুলোর যে মুখবন্ধ আমি লিখেছিলাম, তার থেকে সে নিজের খুশিমতো সেই সবই নিয়েছে যা তাকে সাহায্যে করবে যে কোনও মূল্যে শান্তির রণকৌশলকে প্রতিষ্ঠা করতে এবং বলপ্রয়োগ ও হিংসার রণকৌশলকে বিরোধিতা করতে, বিশেষ করে এমন একটা সময় যখন বার্লিনে দমনমূলক আইন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমি এই কৌশল (অর্থাৎ সর্বজনীন ভোটাধিকারের) প্রচার করেছি কেবল মাত্র আজকের জার্মানির জন্যেই, এবং তাও একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত সহযোগে। ফ্রান্স, ইতালি, বেলজিয়াম বা অস্ট্রিয়াতে এই কৌশল সার্বিকভাবে অনুসরণ করা সম্ভব নয়, এবং হয়তো জার্মানিতেও আগামী দিনে এটা আর প্রয়োগোপযোগী থাকবে না।নাহঃ, এক হাত নেবার সুযোগ এঙ্গেলস পান নি। কর্কট রোগে আক্রান্ত হয়ে কমাসের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছিল তাঁর জীবন। সেই সুযোগে নেতৃত্ব দখল করে নিয়েছিল বার্নস্টাইন, কাউটস্কি, লিবনেখট প্রমুখ।
১৮৮০ সালে, জুল গেসদেকে সঙ্গে নিয়ে, ফরাসী শ্রমিক দলের কর্মসূচী তৈরি করার সময় তার ভূমিকায় মার্কস লিখেছিলেন, উৎপাদনের উপকরণসমূহের থেকে উৎপাদক বা সর্বহারা শ্রেণীর বিচ্ছিন্নতা দূর করতে হলে তাঁদের নিজেদের একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল তৈরি করতে হবে, যার হাতে থাকবে সর্বপ্রকারের কৌশল, এমনকি সর্বজনীন ভোটাধিকারও। লেনিনও এই কথা বার বার বলেছেন, বলেছেন পরিস্থিতি অনুযায়ী রণকৌশল গ্রহণ করতে। ১৮৪৮ সালে এঙ্গেলস যেমনটা বুঝেছিলেন, দেখা যাচ্ছে সমস্ত প্রকৃত মার্কসবাদী বিপ্লবীরই উপলব্ধি ছিল একই রকম। সাম্যবাদের মূলনীতি’ (১৮৪৮) লেখার সময় এঙ্গেলস বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে কি ব্যক্তি সম্পত্তির বিলোপ সম্ভব? যদি এমনটা সম্ভব হয় তাহলে সাম্যবাদীদের এটাই মনোগত বাসনা হওয়া উচিৎ... ... ... কিন্তু তাঁরা দেখতে পাচ্ছে, প্রায় সমস্ত সভ্য দেশগুলোতে সর্বহারার বিকাশ কী হিংসাত্মকভাবেই না রোধ করা হচ্ছে, এবং এইভাবেই সাম্যবাদের বিরোধীরা সর্বশক্তি দিয়ে এক বৈপ্লবিক অভ্যুত্থানের পক্ষে কাজ করছে। যদি শোষিত সর্বহারা শ্রেণীকে অবশেষে অভ্যুত্থানের পথে যেতে বাধ্য করা হয়, তাহলে আমরা, সাম্যবাদীরা, তাঁদের স্বার্থরক্ষার্থে কাজেই নেমে পড়ব যেমন এখন আমরা তাঁদের রক্ষা করছি লেখা ও কথার সাহায্যে।’ ‘কাজবলতে এখানে এঙ্গেলস কি বোঝাচ্ছেন সেটা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
১৮৪৮ সালে বলা এই কথাগুলো আজও সমান তাৎপর্যপূর্ণ, লাফার্গকে লেখা ৩রা এপ্রিল ১৮৯৫-র চিঠিটাও তাই। দুটো সফল বিপ্লবের এবং বেশ কিছু ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা আমাদের শিখিয়েছে, শাসকশ্রেণী কখনোই স্বেচ্ছায় ক্ষমতা পরিত্যাগ করে না। তারা নানান আইনি ও বেআইনি উপায় অবলম্বন করে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, হিংসার সাহায্যে গণমানসকে দমন করে। এমতাবস্থায় কম্যুনিস্টরা যেমন আইনি লড়াই চালায়, তেমনই চালায় বেআইনি সংগ্রাম, চূড়ান্ত পর্যায়ে যা সশস্ত্র সংগ্রামের রূপ পরিগ্রহ করে।
ভারতবর্ষের ক্ষেত্রেও আমাদের অভিজ্ঞতা অভিন্ন। ১৯৪৭-এর রাজনৈতিক ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেও দেশ রয়ে গেছে সাম্রাজ্যবাদের তাঁবে। গত ছয় দশকে কিছু আবরণগত পরিবর্তন সূচীত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিশেষ কোনও গুণগত রূপান্তর পরিলক্ষিত হয় নি। একাধিক বিলিয়নর তৈরির সাথে সাথেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে গরীব মানুষের সংখ্যা, ক্রমশ কমে এসেছে কাজের নিরাপত্তা। দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রে নিযুক্ত মানুষের প্রায় ৮০% দিনে ২০ টাকারও কম আয় নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। না খেতে পাওয়া মানুষের সংখ্যাও আমাদের দেশেই সবচেয়ে বেশী।
তবে আশপাশের দেশগুলোর সাথে ভারতবর্ষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তফাৎ রয়েছে। এখানে এক দিকে যেমন ধনিক জমিদার, সামন্তপ্রভু ও সাম্রাজ্যবাদের সাথে গাঁঠছড়া বাঁধা বড় বুর্জোয়াশ্রেণীর প্রতিনিধিরা সংসদ এবং আইনসভাগুলোর দখল নিয়ে বসে আছে, তেমনই অন্য দিকে পার্লামেন্ট ব্যবস্থা মানুষের মধ্যে কিছুটা মোহও তৈরি করতে পেরেছে। লেখা রয়েছে, জনগণের তাঁদের পছন্দ মতো জনপ্রতিনিধি বাছার অধিকার আছে, স্বৈরতান্ত্রিক শাসককে ছুঁড়ে ফেলার ক্ষমতা আছে, ইত্যাদি। ১৯৭৭ সালে কেন্দ্রে বা রাজ্যে কংগ্রেসি জরুরী অবস্থার মুহতোড় জবাবতাঁদের এই মোহকে কয়েকগুণ বারিয়ে দিয়েছে। সরকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সেই সময় আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব কিভাবে কাজ করেছিল সে ব্যাপারে তাঁরা মাথা ঘামান নি। পাশের বাংলাদেশে বা পাকিস্তানে যেভাবে সামরিক সরকার বার বার গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরেছে, ভারতে তা আজও দেখা যায় নি। এসবই মানুষকে মোহাচ্ছন্ন করেছে। যদিও বর্তমানে সাম্রাজ্যবাদী লুণ্ঠন অনেক বেশী; জল, জমি, জঙ্গল থেকে মানুষের অধিকার কেড়ে কর্পোরেটদের পায়ে সমর্পণ করছে ভারত সরকার, তবু কোন এক জাদুবলে দেশের অনেক মানুষ আজও সংসদমুখী। গোটা দেশে মোট ভোটদাতার মধ্যে ৫০% ও কি তার একটু বেশী মানুষ আঙুলে কালি লাগান। এর অনেকটাই আপোষ ভোট’, কিন্তু তা বাদে নিজের পছন্দমত দল বা প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার লোকের সংখ্যাও তো নেহাত কম নয়। তাই নির্বাচনী সংগ্রাম বা আইনি লড়াইয়ের গুরুত্ব এখনও ফুরিয়ে যায় নি। তবে, এর উদ্দেশ্য কখনোই সংসদীয় রাজনীতিকে দৃঢ় করা নয়। উলটে, নির্বাচনী সংগ্রামের লক্ষ্যশান্তিপূর্ণ পথের সীমাবদ্ধতা মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া। মূল লড়াইয়ের ক্ষেত্র যে দেশের বহ্নিমান ক্ষেত-খামার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না। সংগ্রামের মূল রূপ যে হতে হবে অসংসদীয় এবং বেআইনি এটাও সন্দেহাতীত।
কিন্তু আমাদের দেশেও লিবনেখটের মতো কিছু লোক মার্কস-এঙ্গেলস-লেনিন-স্তালিনের লেখাগুলোকে তাঁদের রাজনৈতিক মর্মবস্তু থেকে পৃথক করে যেকোনো মূল্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও পার্লামেন্টারি বামনত্বের দিকে নিয়ে যেতে উদ্যোগ নিয়েছে। তারা এঙ্গেলসের নাম নিয়ে ভোটে লড়ে আসন জেতাকে ব্যাখ্যা করছে, কিন্তু তাঁর লেখা পূর্বোল্লিখিত চিঠি দুটোর কথা একবারও বলছে না। তারা মুখে বলছে নির্বাচনকে প্রকৃত মার্কসবাদী-লেনিনবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে চলছে বিপরীত পথে। নির্বাচনী জয়লাভ নয়, নির্বাচনী মোহভঙ্গই যে কম্যুনিস্টদের মূল নীতি - এটাই তারা ভুলিয়ে দিতে চাইছে। তারা ভুলিয়ে দিতে চাইছে, প্রকৃত গণবিপ্লব না হলে অনেক ভালমানুষকে নিয়ে মন্ত্রীসভা গড়লেও সাধারণ মানুষের কোনও উন্নতি হয় না, কেননা আমলাতন্ত্র নানান দৃশ্যমান ও অদৃশ্য গ্রন্থির সাহায্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শোষকদের সাথে যুক্ত থাকে।
মহান এঙ্গেলসের এই ১৯২-তম জন্মদিবসে তাই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে সমস্ত বিপ্লব ভীরুতার বিরুদ্ধে ব্যারিকেড গড়ে তোলার। কমরেডস মার্কস ও এঙ্গেলসের শিক্ষায় কমরেডস লেনিন ও স্তালিনের নেতৃত্বে রুষিয়ার বিপ্লবীরা ঘটিয়েছেন মহান অক্টোবর বিপ্লব, চেয়ারম্যান মাওয়ের চিনে হয়েছে মহান নয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব, আমরাও লড়াই করেছি তেলেঙ্গানায়, লড়াই হয়েছে তেভাগার। তাই লিবনেখট ও তাঁর দেশীয় দালালরা ইতিহাসের আস্তাকুরে নিক্ষিপ্ত হবেই, জয়ী হবে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আর তাঁদের জীবন জয়ের নিশানা ওড়ানো লড়াই

No comments:

Post a Comment