(১)
‘আহত’
মাওবাদী নেত্রী সুচিত্রা মাহাতোর আত্মসমর্পণ (এর পর কি রাজ্য সম্পাদক আকাশ?), কাঁধে
ইনসাস ঝুলিয়ে মহাকরণের রোটান্ডায় স্বামী-পুত্র সমেত জাগরী বাস্কের প্রেস কনফারেন্স
অথবা যৌথবাহিনীর সাথে গুলির লড়াইয়ে কিষাণজির মৃত্যু – গত ১০ মাসে একের পর এক সাফল্যের
পালক স্থান ক’রে নিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের টুপিতে। গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী আঙ্গুল তুলে
‘ভি ফর ভিক্টরি’ দেখাচ্ছেন। গোটা দেশ অবাক বিস্ময়ে চেয়ে আছে। দেখছে মাওবাদী
সমস্যার দ্রুত সমাধান। শান্তি বিরাজ করছে জঙ্গলমহলে। ঘিরে আছে গোরস্থানের নিশ্চুপতা।
কোমরে
গুলি লাগা অবস্থায় সুচিত্রা কি ক’রে আমার-আপনার মত স্বাভাবিক ভঙ্গীতে হেঁটে বেড়ান, বা রাইফেল কাঁধে মাও-দম্পতী কোন্ কৌশলে পুলিশী পাহারা
এড়িয়ে মহাকরণে ঢুকে পড়েন, এ নিয়ে নিন্দুকরা চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করতেই পারেন। কিন্তু
মাও সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের সাফল্য নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকতে পারে না। বাম আমলে
মরিচঝাপিতে যদি শতাধিক মানুষকে হত্যা করার পরেও জ্যোতিবাবু বলতে পারেন ‘মাত্র
দুজনের মৃত্যু হয়েছে’, বা দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির নকশাল বন্দীদের ওপর চালাতে
পারেন নারকীয় অত্যাচার, তাহলে মমতাদেবীই বা কি দোষ করেছেন? এটাই তো ওঁদের
সংস্কৃতি। শাসকের সংস্কৃতি।
আসল
সমস্যাটা অন্য যায়গায়। শাসকের অন্যায্য কাজের বিরোধিতা করার মত কোনও সংগঠিত নাগরিক
শক্তি আমাদের দেশে অনুপস্থিত। তার কারণও আছে। সাধারণত, যে সমস্ত দেশ সামন্ততান্ত্রিক
ব্যবস্থার জোয়াল ভেঙে বেড়িয়ে এসেছে, সে সব দেশে একটা শক্তিশালী সংস্কৃত সমাজ (civil society-র বাংলা এইটাই ‘সুশীল সমাজ’
নয়) থাকে। এই সব দেশে রাষ্ট্র পরিচালকরা শুধু পশু শক্তির ওপর ভিত্তি
ক’রে শাসন চালাতে পারে না। সমাজদেহে তাদের নিজেদের সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তার
করতে হয়। কিন্তু ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে কিছু আবরণগত পরিবর্তন ঘটলেও সামন্ততান্ত্রিক
উৎপাদন সম্পর্ক বহালতবিয়তে বর্তমান, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার রূপও রীতিমত বিকৃত। ফলে
সংস্কৃত সমাজ বস্তুটা এখানে অকেজো অলংকারবিশেষ। চাওয়া-পাওয়ার নিরিখে বিবিধ
আন্তর্জাতিক পুঁজিগোষ্ঠীর লড়াইয়ে পক্ষ বেঁছে নেওয়াই এর কাজ। ফলস্বরূপ কোনও আন্দোলনই
শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় না, প্রতিফলিত হয় না সাধারণ মানুষের রাগ,
ক্ষোভ, অভিমান। পুলিশ-মিলিটারির হাতে মলিনবসনা আদিবাসী নারী নিগৃহীত হন। প্রকাশ্য
দিবালোকে মাওবাদী সন্দেহে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া ক্লিষ্ট চেহারার কৃষক বাঁশে
বাঁধা মৃত গরু-ছাগলের মত ঝুলতে ঝুলতে যাত্রা করেন মহাপ্রস্থানের পথে। আনাজের দাম
না পেয়ে নিজেদের শেষ ক’রে দেন অন্নদাতার দল। সিভিল সোসাইটি নীরব দর্শক। মন্ত্রিত্ব,
আকাদেমির সভাপতির পদ, সবই তো পাওয়া হয়ে গেছে।
হায়
কিষাণজি! আপনি কি-না শেষে এদের ওপর নির্ভর করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী
দেখতে চেয়েছিলেন! ভেবেছিলেন তৃণমূলনেত্রী ক্ষমতায় এলে এদের কথায় আপনাকে ‘ব্রিদিং
স্পেস’ দেবেন! সুদূর অন্ধ্র থেকে এখানে এসে আপনি বাংলা শিখেছিলেন, কিন্তু যুবনাশ্ব
পড়েন নি। হয়ত সুযোগ পান নি। পড়লে জানতে পারতেন—‘এরা সত্যবাদী নয়, এরা সুবিধাবাদী,/এরা
মিছে কথা কয়।/এরা রসিক নয়/রাসায়নিক,/কীসের সাথে কি মেশালে/কোলে ঝোল টানা যায়/এরা
মোক্ষম জানে।/দুর্ভিক্ষে, রাষ্ট্রবিপ্লবে .../যে কোনও মওকায়/এরা লুঠের বেসাতি ক’রে
যায়/শত্রু, মিত্র যখনই যে ভুঁয়ে লোটায়/এরা তার রক্ত-মাংস-হাড়/চিবোয়ে, চোষে...’।
(২)
পাঠকের
হয়ত মনে আছে শান্তি আলোচনার নামে কিভাবে ‘এনকাউন্টার’-এর ভান ক’রে মাওবাদী দলের
মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আজাদ বা চেরুকুরি রাজকুমার-কে ঠাণ্ডা মাথায় খুন
করেছিল চিদাম্বরম-এর ঘাতক বাহিনী। এই ঘটনার প্রতিবাদে সেদিন যিনি সবচেয়ে বেশী সরব
হয়ে উঠেছিলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নেতৃত্বেও একই পরিণতি ঘটেছে কিষাণজি ওরফে
কোটেশ্বর রাও-এর। হ্যাঁ, এমনটাই অভিযোগ ভারভারা রাও, গুরুদাশ দাশগুপ্তসহ আরও
অনেকের।
অন্ধ্রের
অন্তর্গত উত্তর তেলেঙ্গানার করিমনগর জেলার পেড্ডাপল্লী গ্রামের কোটেশ্বর রাও (পার্টিতে
কিষাণজি ছাড়াও তিনি কোটান্না, রামজি, বিমল এবং প্রহ্লাদ নামে পরিচিত ছিলেন) ৯-এর
দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের দায়িত্বে আসেন। ২০০৪ সালে সিপিআই
(মাওবাদী) গঠিত হলে তিনি হন পার্টির পূর্বাঞ্চলীয় ব্যুরো ও কেন্দ্রীয় মিলিটারি
কমিশন-এর প্রধান। বাংলার জঙ্গলমহল অঞ্চলে দীর্ঘদিন
ধ’রে সিপিআই (এম)-বিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পরিচালনা করার সময় বার বার
রাষ্ট্রের ঘেরাও-দমনের মাঝে পড়েছেন তিনি। কিন্তু
নিখুঁত গেরিলা কায়দায় প্রতিবারই বেঁচে গেছেন সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর চোখে ধুলো
দিয়ে। কিন্তু না, শেষরক্ষা হয় নি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায়
হয়ে উঠেছিল মাওবাদী পার্টির প্রধান ‘ট্যাকটিকাল অ্যালি’, সেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছে তার।
প্রশ্ন
জাগে, কি ভাবে হ’ল এমনটা? কেনই বা হ’ল? মাও-নেতৃত্ব না বুঝলেও, বাংলার বাম-মনস্ক মানুষজন
আগেই বুঝেছিলেন এটা হবে। শাসক শ্রেণীর ভেতরের দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে নিজের
সংগঠনকে বাড়িয়ে তোলা আর দক্ষিণপন্থী শক্তির ভাড়াটে বাহিনীতে পরিণত হওয়া এক নয়। শ্রেণীশত্রুর
সামনে নিজের সংগঠনকে খুলে দিয়ে মূল রাজনৈতিক লাইনকে বিসর্জন দিলে ধ্বংস অনিবার্য।
ভুল রাজনীতির প্রভাবে বৃহৎ গণফৌজও ভেঙে টুকরো হয়ে যায়, নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ঘাঁটি
এলাকা। অন্ধ্রপ্রদেশে ঘটেছিল এই ঘটনা। চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম সরকারের
বিরোধিতা করতে মাওবাদীরা জোট গড়েছিল প্রয়াত রাজশেখর রেড্ডির কংগ্রেস-এর সাথে।
ফলস্বরূপ অন্ধ্রের এতদিনের মজবুত সংগঠন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে, শহীদ হন একাধিক
কেন্দ্রীয় নেতা। কেন্দ্রীয় ঘাঁটি স্থানান্তরিত করতে হয় ছত্রিশগড়ের ঘন জঙ্গলে। এরই
‘অ্যাকশন রিপ্লে’ দেখা গেল বাংলায়। শুধু স্থান-কাল বদলেছে—পাত্র সেই মাওবাদী-রাই।
কৌশলসর্বস্য
সমরবাদী রাজনীতির বলি হয়েছেন কিষাণজি। রণনীতিটাই
যে নির্ধারক, এটা ভুলে যাওয়ার কারণেই মাশুল গুণতে হয়েছে তাকে। যে লালগড় আন্দোলন
মূলত গড়ে উঠেছিল সাধারণ খেটে-খাওয়া আদিবাসী মানুষ ও বিভিন্ন বামপন্থী গোষ্ঠী ও
দলের হাত ধ’রে, তাতে একাধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে সম্পূর্ণ দক্ষিণপন্থী শক্তির অনুপ্রবেশ
ঘটিয়ে তাদের সাথে রণকৌশলগত আপোষ করেছিলেন মাও-নেতৃত্ব। আপোষের মাত্রা এতটাই তীব্র
ছিল যে সমমতাদর্শে বিশ্বাসী দলগুলোকেও তারা দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়ার
জন্য চাপ দিয়েছিলেন। পিসিসি সিপিআই (এম-এল) নেতা সন্তোষ রানার প্রেস বিবৃতি (৯
আগস্ট ২০১০) থেকে জানা যায়—লালগড় আন্দোলনে মাওবাদীরা কোনোভাবেই অন্য কোনও বাম
শক্তিকে যায়গা ছাড়তে নারাজ ছিল। এ ব্যাপারে তারা এতটাই উগ্র অবস্থান নিয়েছিল যে,
ঝাড়গ্রাম ও সেই সংলগ্ন এলাকার এম-এল কর্মীদের তারা ভয় দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ
দিতে বাধ্য করছিল। তৃণমূল কর্মীদের ঘরবাড়ি হয়ে উঠেছিল মাওবাদী স্কোয়াডগুলোর
শেল্টার। জনগণের ওপর নির্ভর করার বদলে নির্ভরতা বেড়ে গেছিল জঙ্গল-কেন্দ্রিক
রাজনীতি ও তৃণমূলী পার্টি কর্মীদের ওপর—যার অধিকাংশই বামফ্রন্ট আমলে ক্ষমতা হারানো
গ্রামীণ কংগ্রেসি জোতদার ও বদবাবু। ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্নতা দেখা দিয়েছিল খেটে খাওয়া
মানুষের সাথে। গণবাহিনী অধঃপতিত হয়েছিল ভাড়াটে বাহিনীতে, যার বায়নাদার ছিল আজকের
শাসকরা (কিষাণজি অবশ্য নিজমুখে এও বলেছেন যে তৃনমূলের হুঁকোয় তামাক খাওয়ার আগে
তিনি সিপিএম-এর আলবোলায় সুখটান দিতেন)।
পশ্চিমবঙ্গের
সংসদীয় রাজনীতির একটা বিশেষ দিক হ’ল শ্রেণীর প্রশ্নকে গুলিয়ে দিয়ে পার্টি-পার্টি
বিভাজনের তীব্রতা।—এই বিপজ্জনক রাজনীতি প্রবেশ করেছিল মাওবাদীদের মধ্যেও। কৌশলের
রাজনীতির সাময়িক লাভ নেতৃত্বের মাথা ঘুড়িয়ে দিয়েছিল। শ্রেণীসংগ্রাম ভেসে গেছিল
সুবিধাবাদের ঢেউয়ে। লালগড়সহ পশ্চিমবাংলার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলের নিকটবর্তী ৪২টা আসনে
তৃণমূল প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়ী করতে প্রতিদিনই খুন করা হচ্ছিল
সিপিআই (এম) কর্মীদের। অধিকাংশই গরিব কৃষক। পার্টি-পার্টি দ্বন্দ্বের যথার্থতা
ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞানের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে কিষাণজি ঘোষণা করেছিলেন—‘বাংলায়
যেটা অভিনব, সেটা হ’ল রাজনৈতিক দলগুলোর আধিপত্য। এটা সত্যি যে এখানে
অন্ধ্রপ্রদেশের মত বৃহৎ জোত-জমির মালিক নেই। কিন্তু এখানে রাজনৈতিক নেতারাই
অত্যাচারীতে রূপান্তরিত হয়েছে। আগে কংগ্রেস ছিল, এখন সিপিএম।’ অতএব সিপিএম নেতা বা
সংগঠক মাত্রই ‘অত্যাচারী’, তাই খতমযোগ্য—তার শ্রেণী অবস্থান,
ব্যক্তিগত জীবন চর্চা ও চর্যা যেমনই হোক না কেন! যে সব নিচুতলার সিপিএম কর্মীদের
মারা হচ্ছিল, তাদের সম্পর্কে মাওবাদীদের মূল্যায়ন ছিল—তারা পুলিশের চর। এহেন মূল্যায়ন
যেকোনো রাজনীতি সচেতন মানুষের মনে সন্দেহ জাগাতে বাধ্য। একটা সংগ্রামী এলাকায় এত
চর! তাহলে রাজনৈতিক কাজটা কি হ’ল এত বছর ধ’রে! কিষাণজি ও তার কমরেডরা ভুলে গেছিলেন
যে, ‘বলশেভিকরণের প্রক্রিয়া এতই মন্থর ও জটিল যে সামান্যতম বাধাও তাকে থামিয়ে দেয়
এবং তার অগ্রগতি শ্লথ ক’রে দেয়।’
শ্রেণীর প্রশ্ন এড়িয়ে গেলে মতাদর্শের গতি রুদ্ধ হয়ে যায়—দেখা
দেয় বিবিধ বিকৃতি। এই বিকৃতিরই শিকার হলেন কিষাণজি। অঙ্কুরে বিনষ্ট করলেন লালগড়ের
মত সম্ভাবনাময় আন্দোলনকে।
(৩)
কিষাণজির
খুন হওয়া ও লালগড় আন্দোলন ভেঙে পড়ার পেছনে মাওবাদী পার্টির রাজনৈতিক-সাংগঠনিক ব্যর্থতার
সাথে সাথে আরও একটা বিশেষ কারণ রয়েছে ব’লে বিশেষজ্ঞদের অনুমান। বিভিন্ন সূত্র থেকে
শোনা যাচ্ছে, মারা যাওয়ার ক-দিন আগে মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধে সরকারের সাথে
মাওবাদীদের ‘শান্তি আলোচনার’ অচলাবস্থা কাটাতে বাংলায় এসেছিলেন কিষাণজি। না-কি
অসুস্থও ছিলেন। এই সময়ই (সম্ভবত ২৩ তারিখ) জঙ্গল মহলের বাঁকশোল থেকে তাকে (অনেকের
মতে সেই সাথে সুচিত্রা মাহাতোকেও) পাকড়াও করে যৌথবাহিনী, সিদ্ধান্ত হয় শেষ ক’রে
দেওয়ার। এর পর তৈরি হয় নিখুঁত চিত্রনাট্য।
২৩-এ নভেম্বর কুশবনি জঙ্গল অভিযানে কিষাণজির পালিয়ে যাওয়ার কাহিনী প্রচার করা হয়।
বেশী দূর তিনি যেতে পারেন নি – এমন কথাও মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই ২৪
তারিখ বুড়িশোলের জঙ্গলে মাও-বিরোধী অভিযানের নাম ক’রে তাদের জিম্মায় থাকা
মাও-নেতাকে খুন করে যৌথবাহিনী। সাইকেল ক’রে আহত সুচিত্রার অন্তর্ধানের অলীক কাহিনী
রটানো হয়।
খুব
জানতে ইচ্ছে করে—যা মধ্যস্থতাকারীদের জানার কথা, তা যৌথবাহিনী জানল কি ক’রে? কেনই
বা ইস্তফা দেওয়ার পরেও তারা ফিরে এসেছিলেন? এক না একদিন মানুষ হয়ত সব প্রশ্নেরই
মীমাংসা করবেন।
(৪)
কিষাণজির
সন্ত্রাসবাদী রাজনীতির বলি হয়েছে সাধারণ মানুষ, গরিব খেতমজুর। কিন্তু তাই ব’লে এই
ভাবে দেশের কোনও সন্তান-কে হত্যা করা যায় না। যৌথবাহিনীর কাস্টাডিতে থাকাকালীন
কিষাণজির মৃত্যু হয়েছে ব’লে যখন অভিযোগ উঠছে, তখন সরকারপক্ষের এ বিষয়ে বিচারবিভাগীয়
তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিৎ। সব জিনিষ ‘সাজানো’ হয় না। যদিও রাষ্ট্রের রক্ষক ব’লে
পরিচিত যারা, তারা হামেশাই ‘সাজানো এনকাউন্টার ক’রে থাকেন।
ভাল লাগলেও একটা দুটো ছোট প্রশ্ন এই অশিক্ষিত অধমের মনে জানান দিলঃ-
ReplyDelete১)২০১১ এর মে মাসের পুর্বে জুঙ্গল মহলে তৃণমূলের কোন ও কর্মী কি ছিল?বা থাকলেও তা কি ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে?
২)এই বিপ্লবী বাহিনী দক্ষিন পন্থী ভারাটে বাহিনী কেন?ভারাটে বাহিনীর আবার পন্থা কিসের?আগের দশকের প্রথম দিকে এরাই তো সি।পি।এম এর সহযোদ্ধা পশ্চিম মেদীনিপুর-হুগলিতে বিপ্লব করেছিল.মানে তখন বাম পন্থী ভারাটে বাহিনী ছিল?ভারাটে বাহিনীর শেষ গৌরবময় কখনই হয় না.
৩)বাম ফ্রন্ট আমলে মানুষ ক্ষমতা হারানো বদ বাবুদের কথা পড়লাম কিন্তু অনুজ-ডালিম-ফুল্লরা-রথিন ইত্যাদি সু বাবু/বিবিদের কথা না থাকলে প্রবন্ধটি অসম্পুর্ন হয়ে যাচ্ছে না?এই সব সু বাবু/বিবিদের কল্যানে মাওদের শেল্টার হিসাবে তৃণমূলীদের ঘর বাড়ির কী প্রয়োজন?মার খাওয়া মানুষরা থাকতে?নেতাই এ কী একজন ও মাওবাদী মারা গেছিল?
আরও কিছু জানার ইচ্ছা ছিল।কিন্তু আপাতত এই টুকুই থাক
"oshikkhito awdhom"-ota modhyo shrenibhukter awlonkar! otoyeb chaliye jaan. :) Jaihok, prashna jokhon korechhen tokhon uttar diye dyi. ekta chhotto quotation-ee jatheshto :) --
Delete1.9.2010 tarikhe bhuktobhogi ebong ekoda Kabir Suman er vote pracharer netritwokari ebong ekhono anti-CPM stance niye thaka PCC, CPI-ML neta Santosh Rana ki bolchhen dekha jaak: "It has been our own experience in Lalgarh thatthe Maoists want to establish their own hegemonyin any area by forcibly eliminating all other politicalforces. They are not ready to allow people toparticipate in any political action which is differentfrom them. Recently they have attacked our partymembersand sympathizers in Jhargram area andordered them to severe connection with CPI(ML)and join the Trinamul Congress. In the rural areas,the Trinamul Congress is a party inherited fromthe Congress and is led by ex-landlords, usurersand bad gentry. In some areas they are using theMaoists to eliminate genuine Left forces andestablish the rule of the reactionaries." --ar kichhu bolar achhe ki? :)
Morichjhapi te mriter sothik sonkha tahole koto? Janar agroho thaklo janale khusi hotam.
ReplyDelete