Man's dearest possession is life. It is given to him but once, and he must live it so as to feel no torturing regrets for wasted years, never know the burning shame of a mean and petty past; so live that, dying he might say: all my life, all my strength were given to the finest cause in all the world- the fight for the Liberation of Mankind. - Nikolai Ostrovsky

Thursday, July 21, 2011

গণ্ডগোলে-গোর্খাল্যান্ড (সম্পাদকীয়, 'এই তো সময়' প্রথম বর্ষ অষ্টদশ-উনবিংশ যৌথ সংখ্যা, ২১শে জুলাই, ২০১১)




নাহঃ, উনি আর যাই হোন, অকৃতজ্ঞ নন। নির্বাচনের আগে পাহাড়ের বামপন্থী ও সাধারণ মেহনতি মানুষকে অর্ধচন্দ্র দেখাতে মাফিয়া-শিরোমণি গুরুং-এর যে মদত তিনি নিয়েছিলেন, তা কড়ায়গণ্ডায় মিটিয়ে দিয়েছেন মমতা। বাংলা ভাগ করার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছে দার্জিলিং নিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি। বামফ্রন্ট আমলের চুক্তির ফলে বাংলা ভাগ হবে না, এই কথা আদায় করা হয়েছিল জিএনএলএফ নেতা ঘিসিং-এর থেকে। কিন্তু আমাদের আজকের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মোর্চা নেতৃত্বের থেকে সেরকম কোনও প্রতিশ্রুতি আদায় করা তো দূরে থাক, বিচ্ছিন্নতার সমস্ত সম্ভাবনাই জিইয়ে রেখেছেন। চুক্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরে না আসলেও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পাহাড়ে একটা স্বশাসিত পরিষদ গড়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। দার্জিলিং নাম তুলে এর নাম দেওয়া হয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
পাহাড় সমস্যার সমাধান (আসলে জালিয়াতি) করতে এসে মমতাদেবি এখন ভুগোল নিয়ে পড়েছেন। আমাদের এতদিনের ভুলটা তিনি ভেঙ্গে দিয়েছেন। জানতাম কাঞ্চনজঙ্ঘাভারতের উত্তর সিকিম ও নেপালের টাপলিজং জেলা সীমান্তে। উনি সেই ভুল জানাটাকে শুধরে দিলেন, ১৮/০৭/১১ তারিখে। কাঞ্চনজঙ্ঘা আসলে দার্জিলিং-এ। ব্রাত্যবাবুর হুকুমে এখন হয়তো মাস্টারমশাইদের নতুন করে ম্যাপ আঁকতে হবে! আমরা দাবী জানাচ্ছি ১৮/০৭/১১-কে নিখিল ভারত ভৌগলিক দিবসহিসেবে ঘোষণা করা হোক!

No comments:

Post a Comment