তৃণমূলী যুবনেতার মাফিয়াদের হাতে
২৩ জন বামপন্থী কর্মীর মৃত্যু, বাহুবলি বিধায়ক জাভেদ খানের গুণ্ডাদের আঘাতে আলিয়া
মাদ্রাসার পড়ুয়াদের রক্তাক্ত হওয়া, জনৈক কংগ্রেসি নেতার মদতে
একাদশ শ্রেণীর বাম-সমর্থক ছাত্রের হত্যা – এমন শত শত ঘটনা
দিনের পর দিন ঘটে চলেছে রাজ্যের মাটিতে। এদিকে নৈরাজ্যের এই ভয়াবহ ছবি ঢাকতে
রাজনৈতিক গিমিক দিয়ে জনগণের মনে নিজের পরিষ্কার ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য ইতিমধ্যেই শিল্পপতিদের সাথে মেকি বৈঠক এবং সংবিধানের
মুখে লাথি মেরে ‘সিঙ্গুর বিল’ তৈরি
করেছে রাজ্য সরকার। পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সাথে আপোষ করা বা ‘জো হুজুর’ বলতে রাজী না হওয়ায় বাঙ্গুর হাসপাতালের
সুপারকে সাসপেন্ড করাও এই পপুলিস্ট রাজনীতিরই অংশ। প্রয়োজনে মানুষের জীবনের
মূল্যেও যে ওরা নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা তুলবে, তা ঠাণ্ডা
মাথায় ‘বিসি রায় হাসপাতাল’-এ চিকিৎসাধীন
১৯ জন শিশুর নারকীয় মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করে তৃণমূলীরা দেখিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু ক্রমশ মানুষের
মোহমুক্তি ঘটার ফলে তাঁরা এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ফাঁপরে পড়ে তাই
কেন্দ্রীয় সরকারের মূল্যবৃদ্ধি নীতিকে লোক দেখানো বকুনি দিয়েছেন মমতা। তবে ঐটুকুই!
প্রণব-সোনিয়ার সাথে বেহায়া নেত্রীর গলাগলি এখনও অব্যাহত।
আমেরিকার টাকা, মিডিয়া নামক
পুঁজি-আশ্রিত ক্রীতদাসদের লম্ফঝম্ফ, ‘যন্ত্রের জালিয়াতি’,
‘মাওবাদী’ নাম নিয়ে বাকুনিন-এর চেলাদের একের
পর এক গরিব বাম-সমর্থকদের হত্যা করা, এবং সংসদের ভেতরে ও
বাইরে বামপন্থী দলগুলোর মরণপণ পুঁজিবাদ-বিরোধী লড়াই সত্ত্বেও রাজ্য পরিচালনার
ক্ষেত্রে তাঁদের একাংশের সমাজ গণতান্ত্রিক ঝোঁকের কারণেই ‘মমতা
অ্যান্ড কোম্পানি’ বাংলার মসনদে বসার সুযোগ পেয়েছে। ১৯২৬
সালে ফ্যাসিস্টরা যেভাবে আক্রমণ নামিয়ে এনেছিল ইতালির সাধারণ মানুষের ওপর, সেই একই পদ্ধতিতে বাংলার জনগণের ওপর সুকৌশলে হামলা চালাতে তৃণ-কং পরিচালিত
রাজ্য সরকার কোমর বেঁধেছে, বেঁছে নিয়েছে মুসোলিনির
চক্রান্তমূলক হত্যা ও গুজব ছড়ানোর পথ।
কিন্তু মমতা ভুলে যাচ্ছেন
যে বামপন্থীরা হলেন আত্মিক অ্যাটম বোমা! তাঁরা এক বিশেষ অস্ত্রে সজ্জিত, যার নাম
মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-মাও সেতুং চিন্তাধারা।
কমরেডস, চিন্তার মৃত্যু
নেই। জনগণ এদের উৎখাত করবেনই। আমাদের কাজ মানুষের সাথে থাকা, বৃহৎ বাম ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার মধ্য দিয়ে তাঁদের পশ্চাৎপদ মানসিকতা থেকে
মুক্ত ক’রে সংগ্রামের ময়দানে টেনে আনা। জনগণ জেগে উঠলে হাজার
মমতার ক্ষমতা নেই তাঁদের রোখার!
‘হাত দিয়ে ব’ল সূর্যের আলো রুধিতে পারে কি কেউ,
আমাদের মেরে ঠেকানো কি
যায় জন-জোয়ারের ঢেউ!’
(‘আমরা কম্যুনিস্ট’
- শহীদ সুব্বারাও পানিগ্রাহী)
No comments:
Post a Comment