Man's dearest possession is life. It is given to him but once, and he must live it so as to feel no torturing regrets for wasted years, never know the burning shame of a mean and petty past; so live that, dying he might say: all my life, all my strength were given to the finest cause in all the world- the fight for the Liberation of Mankind. - Nikolai Ostrovsky

Tuesday, September 25, 2012

ফ্যাসিবাদের সহজ পাঠ ও মমতাদেবী - অনল ('এই তো সময়', ১লা অক্টোবর, ২০১২)



কে ফ্যাসিস্ত, কে ফ্যাসিস্ত নয় এই নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের শেষ নেই। এর মাত্রা গত দু-বছরে আরও কয়েক গুণ বেড়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত সরকারের কাজকর্মের প্রভাবে। নানা পুঁথি ও দলিল দস্তাবেজ ঘেঁটে পণ্ডিতরা চুল-চেরা বিশ্লেষণ করে এটাই বোঝাতে চেষ্টা করছেন যে, তৃণমূলীদের মধ্যে যা দেখা যাচ্ছে তা এক ধরনের অশুভ ইঙ্গিত বহন করে আনলেও একে ফ্যাসিবাদ বলা যায় না, কেননা ওই মতবাদের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক দিক আছে। তৃতীয় আন্তর্জাতিকের তুলে ধরা সঙ্গায় ভর করে তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন: মমতাদেবী কি আদৌ লগ্নী পুঁজির উগ্র শাসন চালাবার ক্ষমতা রাখেন?
পণ্ডিত ব্যক্তিরা আমাদের প্রণম্য। কিন্তু মুশকিল হয় অতিপণ্ডিতদের নিয়ে, বিশেষ ক'রে যদি তাঁদের ব্যুৎপত্তি দেখাবার জায়গা হয়ে দাঁড়ায় মার্কসবাদ-লেনিনবাদ। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ও সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের প্রভাবে বাংলার রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী মহলে একধরণের অর্থনৈতিক নিয়তিবাদ (economic determinism) বহু দশক ধরে দানা বেধে উঠেছে। ফলে তাঁরা যাই দেখেন বা শোনেন, সবই এঁচে নেন সরল অঙ্কের সূত্রে। কিন্তু সামাজিক বিকাশ বা সমাজ বিজ্ঞানের চলন কি এতো সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব? কাঠামো-উপরিকাঠামো সংক্রান্ত বিতর্কে না ঢুকেও এটা বলা যায় যে, সামাজিক বিকাশে বা বিজ্ঞানে উপরিকাঠামোর ভূমিকা নেহাত লঘূ নয়। রীতিনীতি, ঐতিহ্য, ইত্যাদিও কখনো কখনো স্বতন্ত্র ভূমিকা পালন করতে, এমনকি অর্থনৈতিক ভিত্তিকেও প্রভাবিত করতে সক্ষম।
অধ্যাপক শ্রী লরেন্স ব্রিট ইতালীয়, জার্মান, স্পেনীয়, ইন্দোনেশীয় ও চিলিয় ফ্যাসিবাদের নানান দিক নিয়ে অধ্যয়ন করার পর এই মতাদর্শের ১৪টি উপরিকাঠামোগত অভিপ্রকাশকে চিহ্নিত করেছেন। পাঠকের সুবিধার্থে ফ্যাসিবাদের প্রতিমাস্বরূপিণী বঙ্গ-নেত্রীর কাজকর্মের নিরিখে নিচে সেগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
প্রথম পয়েন্ট হল কর্তৃত্ব সহকারে উগ্র জাতীয়তাবাদের নিরন্তর প্রচারভিন্ন ভিন্ন দেশে এটি ভিন্ন ভিন্ন রূপ পরিগ্রহ করে। কেউ জাতীয় পতাকায় মুড়ে ফেলে গোটা দেশকে, কেউ বা আবার জাতীয় বীরদের ছবি ও মূর্তি তৈরি ক'রে ঝুলিয়ে দেয় মোড়ে, মোড়ে, প্রচার করে তাঁদের বাণী (যদিয় তাঁদের শিক্ষাকে আড়াল ক'রে)। বলা বাহুল্য, এই বীরদের মধ্যে ঠাই ক'রে নেন সেই বিশেষ ফ্যাসিস্ত নেতা বা নেত্রী। সেই সাথে তাঁকে লীন করা হয় জাতীয় সত্ত্বার ভেতর। কেন্দ্রীয় স্থলে সেভাবে অভিষিক্ত না হয়েও তৃণমূল সরকারের প্রচারের এই বিশেষ দিকটি নানানভাবে প্রতিফলিত। রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, রামমোহনদের ঘিরে, তেরঙ্গায় লেপটে চলে সততার প্রতীকমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারাভিযান; মুখে একটি বিশেষ শ্লোগান—‘মা-মাটি-মানুষ’!
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই প্রচারাভিযানের সাথে সাথেই চলে মানুষের মৌলিক অধিকার ধ্বংসের খেলাশুরু থেকেই মানবাধিকার নামক বস্তুটির প্রতি ফ্যাসিস্তদের অপরিসীম ঘৃণাএ ব্যাপারে হিটলারের জার্মানির সাথে আজকের পশ্চিম বাংলার কোনও তফাৎ নেই। গত দুবছরে মা-মাটি-মানুষের সরকার’-এর বদান্যতায় কার্টুন কাণ্ডে অধ্যাপক শ্রী অম্বিকেশ মহাপাত্রের গ্রেফতার থেকে বিবিধ নাগরিক অধিকারের হরণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, রাজ্যে মানবাধিকারের বিষয়টি শুধু উপেক্ষিতই নয়, ধূলায় লুণ্ঠিত। ধৃত শিক্ষকের উপর পুলিশী নির্যাতনের পর সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি জাস্টিস গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন রাজ্য মানবাধিকার কমিশন-ও বলতে বাধ্য হয়েছে, শাসক দলের প্রতি সমালোচনা পোষণ করেন এমন কোনও নাগরিককে এভাবে বাড়ি থেকে পুলিশ দিয়ে তুলিয়ে নেওয়া অন্যায়, এবং এমন চলতে থাকলে বাংলার মানুষ এক সর্বগ্রাসী শাসন ব্যবস্থার হাতে বন্দী হয়ে পড়বেন। এহেন ইতর অবস্থার মুখে দাঁড়িয়ে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন কখনোই নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না’—তিনি এও বলেছেন। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দলবল অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই এসবে কর্ণপাত করে নি, কেননা তাদের মাথার উপর রয়েছে সর্বোচ্চ নেত্রীর বরাভয় মুদ্রা।
ফ্যাসিস্ত সমাজের এই নৈরাজ্য ক্রমে জনগণের বিক্ষোভ বাষ্প সম্বলিত বেলুনের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। এটা শাসকরাও বোঝে। তাঁরা জানে একে ফুটো করতে না পারলে শাসন চালানো প্রায় অসম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন কিছু বলির পাঁঠার। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই ধরনের বেশ কটি অজ মমতাদেবীর হাড়িকাঠে প্রাণ খুইয়েছে। বাংলার মানুষ হয়ত মাওবাদী নেতা কিষাণজি রফে কোটেশ্বর রাও-কে ভুলে যান নি!
সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর বাড়বাড়ন্তও ফ্যাসিস্ত সমাজের অন্যতম প্রধান দিকসামান্য ঘটনাতেও পুলিশ-মিলিটারিকে লেলিয়ে দেওয়াই এদের নীতি। এতে যেমন জনগণকে তাঁবে রাখা যায়, তেমনই সামান্য ঘটনাকে বৃহৎ আকার দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটা যায়। পরিবর্তিত বাংলাও এই নিয়মের ব্যতিক্রম নয়। কলেজের ছাত্রছাত্রীদের দাবিদাবার আন্দোলন হোক কি সামান্য হাস্যরসাত্মক চিত্র অঙ্কন সব কিছুই আজ সরকারী পেশি প্রদর্শকদের আওতায়। তাঁরাই দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। কলেজের কল দিয়ে জল পড়ছে না বলে ছাত্ররা আন্দোলন করলে তাও সিপিএম ও মাওবাদীদের মদতে হচ্ছে বলে প্রচার ও নির্বিচারে পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া!
এহেন পুলিশতান্ত্রিক শোষণের সাথে সমঞ্জস্য রেখেই চলে পুরুষতান্ত্রিকতা, যা নাকি ফ্যাসিস্ত সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসাবে স্বীকৃত। নারী সমাজের অবমাননা এখানে খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। অধ্যাপক ব্রিটের এই পর্যালোচনাটি যে নেহাত কথার কথা নয় তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩৬তম কলকাতা বইমেলা উপলক্ষে ভাষণ (বই আর বউ একবার হাতছাড়া হলে তা আর ফিরে আসে না, অন্যের দ্বারা ব্যবহৃত হয়!) ও ধর্ষিতাদের ইজ্জতের দাম বেঁধে দেওয়া থেকেই পরিষ্কার।
গণমাধ্যমকে হাতের পুতুল বানিয়ে বিরোধী বুদ্ধিজীবীদের কাদায় বসানো যে ফ্যাসিস্ত বাহিনীর প্রধানতম কীর্তিগুলির একটি, তা হয়ত আজ আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। সকলেই এটি জানেন, এবং বর্তমান বাংলার মানুষ তো হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। গত কবছরে এক গুচ্ছ পেটোয়া কাগজের জন্ম হয়েছে। এদের কাজ বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের অবিশ্রান্ত গালাগাল করা ও কার থেকে সরকারের আগামী দিনে সমস্যা হতে পারে সে বিষয়ে খবর পৌঁছে দেওয়া। পাঠক নিশ্চয়ই জানেন, সরকারী ও অনুদানপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারে এক মাত্র এদেরই প্রবেশাধিকার। আগামী দিনে মানুষ বাড়িতে কি কাগজ নেবেন তাও নাকি এবার থেকে মমতাদেবী ঠিক করে দেবেন।
এখানেই শেষ নয়। এই সব পেটোয়া কাগজদের দিয়ে অনবরত নিজেদের প্রচার করানোর সাথে সাথে প্রতি ২ সেকেন্ড অন্তর হুংকার ছাড়ে ফ্যাসিস্তরা—‘জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিতআধুনিক কালে সমস্ত শাসক শ্রেণীর পার্টিগুলোর মধ্যেই কিছু না কিছু ফ্যাসিবাদী ট্রেন্ড দেখা যায়। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে কংগ্রেস সরকারের মধ্যেও এই ঝোঁক বেশ স্পষ্ট করেই দেখা গেছে। দেশের মানুষ যখনই বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন, তখনই শোনা গেছে—‘জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত। ৬-র দশকে বাংলার ছাত্র-যুবরা তো ছড়াই বেধে ফেলেছিল—‘যখনই জনতা চায় চাকুরী ও খাদ্য / সীমান্তে বেজে ওঠে চৈনিক বাদ্য’! এই কংগ্রেসিদের সবচেয়ে লুম্পেন অংশের প্রতিনিধি আজকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের ক্ষমতায় আসীন হয়েও হামেশাই জাতীয় সংকটের জিগীর তোলেন। সাধারণ কৃষক থেকে কলেজ পড়ুয়া মেয়েসবাই রাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক, সবাই মাওবাদী!
এতক্ষণ ধরে যা দেখা যাচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের সামান্য সমর্থনও ফ্যাসিস্তদের পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু তা তো হয় না। ইতিহাস প্রমাণ করেছে যে, মধ্যশ্রেণীভুক্ত একটা অংশই ফ্যাসিস্তদের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে নিজেদের উপস্থিত করে। ধর্ম, উগ্র ধর্মীয় প্রচার ও তার সাথে সরকারকে লীন করে দেওয়ার মধ্য দিয়েই এ কাজ সম্ভব হয়ে ওঠে। আজকের বাংলার দিকে তাকান, হিন্দু-মুসলমান উভয় জনসংখ্যাই সমগ্র ভোট রাজনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এক দিকে বাবা তারকনাথের লিঙ্গে জল ঢালতে যাওয়া লোকদের জন্য যেমন মমতাদেবী রাস্তার মোড়ে মোড়ে সরকারী খরচায় দোকান খুলে বাংলা দারুর পাউচ ফ্রি দিচ্ছেন, তেমনই উলটো দিকে চলছে মোনাজতের ভঙ্গীতে ফটো তোলা, ইমাম ভাতা চালু করার আষাঢ়ে গপ্পো, দশ হাজার মাদ্রাসা তৈরির প্রতিশ্রুতি, ইত্যাদি। ... ভোটের আগে মাথায় কাপড় বেঁধে কানে ফোন নেয়া ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল বসিরহাট মহকুমার গ্রামে গ্রামে, সাথে জোরদার প্রচার—‘দিদির সাথে আল্লাহ্‌র যোগাযোগ আছে, রীতিমতো হটলাইন!
এমন নৈরাজ্য যেখানে, সেখানে কেউ সামান্য স্বস্তিতে থাকতে পারে? জনগণ যে পারেন না এ তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু কর্পোরেট সংস্থাগুলি বেশ বহাল তবীয়তেই টিকে থাকে। এমন না হয়ে উপায়ও নেই। ওরাই তো ফ্যাসিস্তদের জোগানদার। এই কারণে ভোটের আগে বড় বড় কথা কওনেওলা মমতাদেবীও এখন কর্পোরেট-দের সবচেয়ে কাছের লোক। হ্যালো মিস্টার প্যাটন ট্যাঙ্ক...জাতীয় বিকৃত বাক্য প্রয়োগের পরেও তিনিই ওদের নয়নের মণি। এই তো দুদিন আগে হিলারি ক্লিনটন এসে কর্পোরেটওলাদের সিধা বার্তা দিয়ে গেলেনএই মেয়েটা আগে পাতি স্ট্রীট ফাইটার ছিল ঠিকই, কিন্তু এখন আমাদের খাস আদমি (থুড়ি, অউরত); ওর পাশে থেকো ভাইসকল, ও তোমাদের সেবায়ই নিয়োজিত।
যেখানে কর্পোরেট পুঁজির বাড়বাড়ন্ত, সেখানে শ্রমজীবী মানুষকে দাবিয়ে রাখা হবে না এমন তো হতে পারে না! ফ্যাসিস্তদের যদি কেউ সামনাসামনি মোকাবিলা করতে পারে, তাহলে সে হল শ্রমিক। ফলে তাঁকে আগে মারোপিঠে না পারলে পেটে সমস্ত সরকারী সংস্থাকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিতে হবে। বাধা দিতে আসার আগেই শ্রমিকদের তাই আঘাত করো। বাংলায় তাই চলছে সাস্পেনশন, ছাঁটাই, লে অফের রমরমা। গত কয়েক মাস ধরে পরিবহণ সংস্থার কর্মীদের উপর চলছে মমতাদেবীর সরকারের অসহনীয় নিপীড়ন। কর্পোরেট সংস্থার হাতে গোটা পরিবহণ ব্যবস্থাকে তুলে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য।
তবে যে যাই বলুক, বন্ধু ও আত্মীয়-ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে ফ্যাসিস্তদের কোনও তুলনা হয় নাক্ষমতায় একবার আসতে পারলে বাপ-মা-ভাই-বোন-ভাইপো-বোনঝি... সব্বাইকে নিয়ে ভরভরন্ত সরকারী সংসার। গুণ্ডামি-চামচামি, চুরি-চামারি সব এক সাথে। মমতাদেবীকেই দেখুন। নীল-সাদা রঙে শহরের শোভা বর্ধন থেকে এখানে ওখানে সরকারী ফ্ল্যাট তৈরি, তিনবাত্তি লাগানো, এমন কি খেলাধুলাতেও ভাই ও ভাইপোদের আধিপত্য। নিজের আত্মীয়দের জন্যে বিরাট ছাড়সে বিকেল চারটের পর বোটানিক্যাল গার্ডেন-এ প্রেম করাই হোক বা পুলিশের গালে থাপ্পড়ই কষানোই হোক; সবেতেই পিসি জিন্দাবাদ! তহবিল তো গৌরি সেনের। লুটে নিতে ৫ বছরও লাগবে না।
তবে যে ব্যাপারটায় ফ্যাসিস্তরা বাকি সবাইকে ছাপিয়ে গেছে তা হল ভোটাভুটিতে জোচ্চুরিগণতন্ত্র রক্ষার অমর সংগ্রামে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করাই এদের লক্ষ্য। কে জানে, আগামী পঞ্চায়েত ইলেকশন হতে দেবেন কিনা মমতাদেবী?! হ্যাঁ, হতে দিলেও বিরোধীশুন্য অবস্থাতেই জিতবেন, এটা নিশ্চিত।
জার্মানি থেকে চিলিসুদীর্ঘ এই উত্তরাধিকার নিয়ে আমার আপনার বাংলায় আজ ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্ষুধার্ত হায়েনার দল। তাদের রক্তলোলুপ চাহিদা চরিতার্থ করতে কখনো প্রাণ দিচ্ছেন সাধারণ গরিব কৃষক, ছাত্র-যুব, কখনো লালসার আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছ আমার আপনার বাড়ির মেয়েরা। অধ্যাপক থেকে প্রান্তিক কৃষকপ্রতিবাদ করলেই সরকারী খাতায় মাওবাদী হতে বাধ্য...!তৈরি হয়েছে মা-মাটি-মানুষ’-কে পেড়ে ফেলার সংস্কৃতি। এখনও, এখনও চুপ করে থাকবেন? এখনও চলবে দরখাস্ত বিছিয়ে হাজার হাজার মানুষকে গৃহহীন করার রাজনীতি? মনে রাখা উচিৎ, মুসোলিনিদের ভাগ্য মাংসের দোকানের হুকের সাথেই দোদুল্যমান, আজ হোক কি কাল। কিন্তু আপনাদের? History repeats itself? সে গুড়ে কিন্তু বালি পড়ার সমূহ সম্ভাবনা। ইতিহাসের গুণগত বিকাশ হয়, পুনরাবৃত্তি নয়।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার: শ্রী নির্বেদ রায়

No comments:

Post a Comment