বিকেল চারটে
নাগাদ ট্রেনে উঠছি, সামনে এক পরিচিত অধ্যাপক ও তাঁর
ছাত্র। টুকটাক সৌজন্য বিনিময়, মুখোমুখি ব’সে একথা-সেকথার
পর রাজ্য রাজনীতির
প্রসঙ্গ উঠতেই ভদ্রলোক একেবারে চনমনে। শুরু হ’ল জমাটি আড্ডা। ছাত্রটি তো হাঁ! বলেই ফেলল— ‘সার, আপনি তো ক্লাসে
রাজনীতি নিয়ে একটা কথাও বলেন না!’ প্রবীণ শিক্ষক হাসতে হাসতে জবাব
দিলেন— ‘ক্লাসে এগুলো বলা ঠিক না। এই যে তুমি (ছাত্রের উদ্দেশে),
এত পড়াশুনা কর, লাইব্রেরীতে মাথা গুঁজে নোটস্ নাও, কিন্তু বাকিদের চেয়ে স্কোর তুলনামূলকভাবে কম করো।
ব্যাপারটা অনেকটা সিপিএম-এর ব্রিগেড সমাবেশের মতো নয় কি? ১০ লক্ষ লোক, এদিকে ভোটের
বাক্সে তার কোনো প্রতিফলন নেই!’ ছাত্রের
মাথা নিচু, মুখে সলজ্জ আলতো হাসি; আমি কিন্তু কান
খাড়া ক’রে আছি ভদ্রলোক এর পরে কী বলেন শোনার অপেক্ষায়। দীর্ঘশ্বাসের সাথে
স্বগতোক্তি ভেসে এলো—‘কিচ্ছু হবে না, কিছুই হবার নয়।
জানেন তো (এবার আমাকে), আমরা যখন বড় হয়ে উঠছি তখন দেয়ালে দেয়ালে বন্দুকের নল আঁকা
চলছে। হয়ত ভুল ছিল, হয়ত বা ঠিক ছিল। জানিনা। তবে যাঁরা সেদিন গেছিল তাঁরা কিছু পাওয়ার জন্য যায় নি।
ক্যারিয়ার করাটা উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু ’৭৭-এর পর যে কি হ’ল! ... আর এদের তো
কথাই নেই!’
সত্যি
বলতে কি, মানুষের ক্ষোভটা ঠিক এইখানেই। কংগ্রেসি বা ওই গোত্রের সকলকেই মানুষ চেনে।
ওরা চুরিচামারি করবে, একে-ওকে চমকাবে, দোকান-বাজারে ভয়
দেখিয়ে তোলা আদায় করবে...।
সাধারণ মানুষের কাছে এগুলো স্বাভাবিক, কিছুটা গা সওয়াও, কারণ এটাই ওদের সংস্কৃতি।
কিন্তু লাল পতাকায় একফোঁটা কালি লাগলেও লোকে সেটাকে বিরাট ক’রে দেখে। এই কালির দাগটুকু এড়াতেই
লেনিনকে লেবু খাওয়া ছাড়তে হয়, খাদ্য সংকটের সময় মাও সেতুং একবেলার খাওয়া বন্ধ রেখে আধপেটা থাকতে শুরু করেন। কিন্তু ‘কম্যুনিজম
দারিদ্র্যের নয়, প্রাচুর্যের দর্শন’—পরিপ্রেক্ষিত বাদ দিয়ে এই
বিশেষ উদ্ধৃতির বিকৃত ব্যাখ্যার ফলে সি.পি.আই.(এম)-এর সাথে আজ আর অন্যান্য চারটে বুর্জোয়া দলের কোনো গুণগত ফারাক নেই। লাল ঝাণ্ডাটার প্রায় মোটর গ্যারাজের গ্রিজ-মাখা
ন্যাকড়ার হাল! ভোটের
বাক্সে মোক্ষলাভ, চাল, টাকা, ছাতা ও নগদের বিনিময়ে সর্বজনীন ভোটাধিকারের পণ্যায়ন, ক্যাডারদের কম্যুনিস্ট শিক্ষায় শিক্ষিত না ক’রে পাইয়ে
দেওয়ার রাজনীতিতে অভ্যস্ত ক’রে তোলা,
প্রোমোটারি থেকে সিন্ডিকেট,—সবকিছুতে গলা পর্যন্ত ডুবে থাকা, নেতাদের বিলাসবহুল
জীবনযাপন... সবরকম দোষেই আজকের সি.পি.আই.(এম) দুষ্ট। তবে এই অধঃপতন এক
দিনে হয় নি। দীর্ঘ দিনের সুবিধাবাদী রাজনীতির অবশ্যম্ভাবী পরিণতি এটা।
পারমাণবিক চুক্তিকে কেন্দ্র ক’রে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও দেশীয়
মুৎসুদ্দিকুলের ক্ষমতাসীন অংশের কল-কৌশলের সাথে সাথে উক্ত অধঃপতনও একটা
গুরুত্বপূর্ণ কারণ ২০১১’র পরিবর্তনের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা
তার দলের কাছে সেদিন মানুষের কোনো আশা ছিল না, আজও নেই। নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরের গণআন্দোলনের
প্রভাব, তিন দশক ধ’রে বাড়তে থাকা ক্ষোভ, এবং উপযুক্ত বিকল্পের অনুপস্থিতি সুযোগ ক’রে দিয়েছিল তৃণমূল
কংগ্রেসের মতো একটা ক্ষুদে-ফ্যাশিস্ত
দলকে বাংলার মসনদে বসার। সি.পি.আই.(এম)-এর পচনশীল
সমাজগণতন্ত্রী রাজনীতির গর্ভেই এর জন্ম। ‘আমরা ২৩৫, ওরা
শুধু ৩৫’-এর
যুগে প্রশাসন বলে কোনো পদার্থ ছিল না। প্রতি জেলায় একজন ক’রে মুখ্যমন্ত্রী রাজ করতেন—
হুগলীতে অনিল বসু, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে যথাক্রমে লক্ষণ শেঠ
ও দীপক সরকার, কলকাতার যাদবপুর চত্বরে খোকন ঘোষ দস্তিদার, উত্তর চব্বিশ পরগণার ব্যারাকপুর-বিজপুরে তড়িৎ তোপদার... আরও
কতো না রথী-মহারথী। রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ঔদ্ধত্যের এমন বিকেন্দ্রীকরণ বাংলা আগে দ্যাখে নি। স্তালিন একবার বলেছিলেন, কম্যুনিস্ট
আমলার চেয়ে ভয়ঙ্কর আর কিছু হতে পারে না। কথাটা যে কত সত্যি বাংলার লোক তা হাড়ে
হাড়ে জানে, এখন হয়ত জানে সি.পি.আই.(এম)-ও। কিন্তু ছুটন্ত বাঘের পিঠে একবার উঠে বসলে নামা দায়!
২০১১ সালেই মানুষ বুঝেছিল তৃণমূলের হাতে জীবন খুব একটা সুখকর হবে না। তবু
চোরকে পেয়াদার চাকরিতে বহাল ক’রে একটু স্বস্তি পেতে চেয়েছিল। ভেবেছিল, চক্ষুলজ্জার
খাতিরে চোরেরা হয়ত শুরুতে একটু হলেও চুপচাপ থাকবে, দুটো দিন বুক ভোরে নিঃশ্বাস নেওয়ার
সুযোগ মিলবে। তাছাড়া, প্রশাসন চালানোয় অনভিজ্ঞ সেনাপতি ও তার বাহিনীর সব বুঝতে
বুঝতেই ৫ বছর কেটে যাবে, ওদিকে পরিশুদ্ধ হয়ে ফিরে আসবে বামপন্থীরাই। কিন্তু বিধি
বাম। দায়িত্ব পেয়ে ক্ষণিকের জন্যেও তস্কর তপস্বী তো হ’লই না, বরং আরও প্রবল হয়ে
উঠল। কয়েকজন ভাবল বেশিদিন থাকা হবে না, অতএব যতটা পারা যায় গুছিয়ে নিতে হবে—চলল
চুরিচামারির রেকর্ড বৃদ্ধি, বখরা নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দল। আর একদল ভাবল সিপিএম-কে
বিদায় ক’রে ক্ষমতায় থাকতে হবে কমপক্ষে তিন দশক—দেখা দিল রাজনৈতিক হিংসার গুণগত
উল্লম্ফন। স্বপন কোলে, সুদীপ্ত গুপ্ত, সৈফুদ্দিন মোল্লাদের রক্তে ভাসল শহর-গ্রাম।
বিমান বাবুরা দুঃখ প্রকাশ করলেন। নেতা-সমর্থকদের ফেসবুক-ট্যুইটারের সোভা বর্ধন
করলেন শহীদরা। ওদিকে, তৃণমূলীরা কাজ চালিয়ে গেল নিশ্চিন্তে। সরকারী মদতে আদিম
প্রবৃত্তিগুলো এতদিনের চোরকুঠুরি ভেঙে বেরিয়ে এলো—ধর্ষণ, অসহনশীলতা, তোলাবাজির
কুটির শিল্পে উত্তরণ ঘটল। এক বছরেই জনতার আত্মারাম খাঁচা ছাড়া অবস্থা।
বর্তমানে এর সাথে সারদা কেলেঙ্কারি যুক্ত হয়েছে। জনগণের কষ্টার্জিত টাকা
আত্মসাৎ ক’রে ব্যক্তিগত উদরপূর্তির রাজসূয় যজ্ঞ সংঘটন করেছেন তৃণমূলী নেতারা। ৩৪
বছরে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট-ও যা পারে নি, তৃণমূল তাই ক’রে দেখিয়েছে মাত্র
সারে তিন বছরে।
মানুষের মনে এর গভীর প্রভাব পড়েছে, সন্দেহ নেই। শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতা,
‘বদলা নয়, বদল চাই’ স্লোগানের আড়ালে উন্মত্ত প্রতিহিংসার রাজনীতি, সামাজিক দুর্বৃত্তায়ন
শুরু করেছে তাঁর ধৈর্যের বাঁধে ফাটল ধরাতে। কিন্তু উপায় কি? বিকল্প কে? কেন্দ্রে
দুর্নীতির পাঁকে ডুবে থাকা কংগ্রেসের পতন ও বিজেপির উঠে আসা তৃণমূলকে খানিকটা
কোণঠাসা করেছে। উচ্চবিত্ত ও সাদা কলারের চাকুরেদের কাছে তাই বি.জে.পি.-ই একমাত্র
বিকল্প—only viable
alternative। বীরভূমের অনুব্রত-মনিরুল বা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার লম্পট
রাজাকারের অত্যাচারের মুখে পড়া গড়িব মানুষের কাছেও। বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলেও বিজেপি
ঢুকতে শুরু করেছে।
কিন্তু এমন হবার তো কথা ছিল না। কেন তৃণমূলের এই সংকট মুহূর্তে বিজেপি উঠে
আসছে বামপন্থীদের বদলে? এর দুটো কারণ—১। সি.পি.আই.(এম)-এর ভীরু, জড়বৎ রাজ্য নেতৃত্বের দরখাস্ত বিছিয়ে সব সমস্যার সমাধান করার
চেষ্টা, প্রতিরোধে শামিল না হওয়া; ২। আত্মশ্লাঘা কাটিয়ে উঠতে না পারা।
জেলায় জেলায় যখন পার্টির কর্মী-সমর্থকেরা একতরফা মার খেয়ে যাচ্ছে তখন সি.পি.আই.(এম)-নেতৃত্ব তার কর্মী
বাহিনীকে প্রতিরোধের দিকে নিয়ে না গিয়ে ‘গণতন্ত্র বিপন্ন’, ‘আমরা আক্রান্ত’ ব’লে বিলাপ
করছে। রাজ্য নেতৃত্বের আজ এমন দুরবস্থা যে ঘরছাড়া পার্টি কর্মীদের পাশে দাঁড়াবার
মানসিকতাটুকুও অবশিষ্ট নেই। সিপিএম বিপ্লবী পার্টি নয়। সুদূর ভবিষ্যতেও সে বিপ্লব
প্রচেষ্টায় শামিল হবে না, রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আরও বেশি ক’রে অঙ্গীভূত হওয়াই তার
লক্ষ্য। কিন্তু ফ্যাশিস্ত আক্রমণের মুখে কর্মীরা যখন রক্তাক্ত তখন অন্তত তাদের রক্ষা
তো করতে হবে। তার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। ফলে প্রান্তিক মানুষ ক্রমশ দূরে স’রে
যাচ্ছেন, আশ্রয় খুঁজছেন বি.জ.পি.-র মতো সাম্রাজ্যবাদী পূঁজির দালাল, একটা আধা-ফ্যাশিবাদী
দলের ছত্রছায়ায়। কিছু কিছু এলাকায় পার্টির আঞ্চলিক নেতৃত্ব বি.জ.পি. সাথে আপোষ
ক’রে চলছে। এমন অঞ্চল, যেখানে তৃণমূলের সাথে সমানে সমানে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে
পার্টি, সেখানেও বিজেপির ছাড়ানো টাকার মোহে এলাকার ছুটকো নেতারা পার্টি-সমর্থকদের
বিজেপির হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছে।
এতো কিছুর পরেও নেতাদের উদ্ধত মেজাজে কিন্তু সামান্যও
টোল পড়ে নি। সি.পি.আই.(এম) যে আদতে আত্মশ্লাঘায় পরিপূর্ণ
একটা দল এটা রাজ্য কমিটির গত ২৩-২৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত ২৯তম অধিবেশনে
গৃহীত ‘বামফ্রন্ট সরকার: একটি পর্যালোচনা (খসড়া)’ শীর্ষক দলিল থেকেই স্পষ্ট। শোনা
যাচ্ছে, এই দলিলের রচয়িতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য স্বয়ং। স্বাভাবিকভাবেই,
নিজের করা ভুলের জন্য কোনো ক্ষমা প্রকাশের চিহ্ন সেখানে নেই, যা আছে তা হ’ল বৃহৎ
স্খলনগুলোকে ছোট ক’রে দেখিয়ে গোটা বিষয়টাকে লঘূ ক’রে দেওয়ার চেষ্টা। গত
নির্বাচনগুলোতে যে উপর্যপরি ধ্বস নেমেছে তার কোনো
নীতিনিষ্ঠ ব্যাখ্যা নেই দলিলে। তথ্যের বিকৃত উপস্থাপনও চোখে পড়ার মতো। পার্টির
কেন্দ্রীয় কমিটির দলিলে যেখানে হাজার ছলচাতুরী সত্ত্বেও বলা হয়েছে বাম সরকারের শেষ
দশ বছরের কাজের নিবিড় ও সমালোচনামূলক মূল্যায়ন (critical examination) দরকার, সেখানে রাজ্যকমিটির দলিলে শুধুই অতীত রোমন্থন,
শুধুই আত্মম্ভরিতা। এমনকি সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে সরকার যে কর্পোরেট পুঁজির কাছে
নতিস্বীকার ক’রে ভুল করেছিল তাও স্বীকার করা হয় নি। স্বীকার করা হয় নি যে, জমি
অধিগ্রহণ নীতিটাই ছিল ১৮৯৪-এর ঔপনিবেশিক আইনের ভিত্তিতে গ’ড়ে তোলা, যেখানে
কৃষকদের সাথে আলাপআলোচনা ক’রে জমি নেওয়া বা ন্যায়সঙ্গত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন দেওয়ার
কোনো উল্লেখ ছিল না। পরিবর্তে, দলিলে দেখানো হয়েছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের
সরকারবিরোধী গণআন্দোলনের পিছনে রয়েছে বিরোধীদের সম্মিলিত চক্রান্ত, যার পোশাকি নাম
‘রামধনু জোট’। যে অংশে এসব প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে সেখানে জঙ্গল মহলের প্রান্তিক
মানুষজনের উন্নতিকল্পে বাম সরকারের ইতিবাচক ভূমিকার কথা বলে অভিযোগ করা হয়েছে যে সেখানে
সমস্যার প্রধান কারিগর সীমান্তবর্তী এলাকায় কাজ করা মাওবাদীরা। কিন্তু একটা
এলাকায়, যেখানে নাকি ‘কৃষি উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং যোগাযোগে’র উন্নতিতে সরকার মনোনিবেশ করেছিলো,
অগ্রাধিকার দিয়েছিল ‘কর্মসংস্থান বৃদ্ধির’ ওপর, ২টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার কাজ
শুরু করেছিল, সেখানে মাওবাদীদের মতো একটা নৈরাজ্যবাদী শক্তি ফুলেফেপে উঠল কীভাবে? বৃহত্তর
জনগণের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব? এর কোনো সদুত্তর দলিলে নেই।
ভূমিসংস্কার, বর্গা ও তৃস্তরীয় পঞ্চায়েতি রাজের
কথা ফালাও ক’রে প্রচার করেছে সি.পি.আই.(এম)। কিন্তু পুঁজিবাদী বিকাশের নামে যে
সামন্তবাদের ভিতটাই এতে মজবুত হয়েছে তা উল্লেখ করা হয় নি। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে
দিয়ে যে আন্তর্জাতিক লগ্নীপুঁজির সাথে সামন্তবাদের একটা জৈব বন্ধন (organic bonding) গ’ড়ে
উঠেছে তাও চেপে যাওয়া হয়েছে। এটা অবশ্য সি.পি.আই.(এম)-এর মতো দলের পক্ষে খুবই
স্বাভাবিক—রাষ্ট্রব্যবস্থার অংশী হয়ে ওঠা ছাড়া তার আর কোনো আজেন্ডা তো নেই। মুসলমান
ও তপশীলি জাতী-উপজাতিদের
করুণ অবস্থায় দায় তৃণমূলের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজের অক্ষমতা এড়িয়ে যাওয়ার অক্ষম চেষ্টাও
করা হয়েছে দলিলে। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়ে বিকৃত তথ্য সরবরাহ
করা হয়েছে।
তাই, প্রশ্ন জাগে— যে
দলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এতো মিথ্যাচার, এতো তঞ্চকতা, এতো দ্বিচারিতা, তার পক্ষে কি
আদৌ সম্ভব কোনো সংকটের সুযোগ গ্রহণ করা? মানুষকে কামানের খাদ্য বানিয়ে ক’দিন আর আখের
গোছানো যায়!
No comments:
Post a Comment